ফরিদপুরে ইন্টারনেট নেই!
ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশের আগের দিন থেকেই মাঠে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। শহরের ছয় কিলোমিটার দূরে সমাবেশস্থল আব্দুল আজিজ ইন্সটিটিউট মাঠে বৃহস্পতিবার থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা ভিড় করতে শুরু করেন। তাদের অনেকে রাতে সেখানে অবস্থান করেন। এর আগে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর ও বরিশালে সমাবেশ করেছে দলটি। সমাবেশের কাভারেজে বাধা দিতেই না-কি ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ নেতারা শুক্রবার রাতেই ফরিদপুরে পৌঁছান। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতারা রাতে সমাবেশস্থলে যান। আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশজুড়ে বিএনপি যে সমাবেশ কর্মসূচি শুরু করেছে, এটি তার ষষ্ঠ সমাবেশ।
মূলত নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন, গুম ও খুনের প্রতিবাদ, দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশের ফেরার সুযোগ তৈরির জন্য সব মামলা প্রত্যাহারসহ নানা দাবিতে দলটি এ সমাবেশের এ ধারাবাহিক কর্মসূচি শুরু করেছে। এটি শেষ হবে ঢাকার সমাবেশের মধ্য দিয়ে।
বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ফরিদপুরকে বিএনপি তাদের সাংগঠনিক বিভাগ হিসাবে বিবেচনা করে। শনিবারের সমাবেশে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, এসব জেলা থেকে লোকজন এসেছে। তবে আগের সমাবেশগুলোর মতো এখানেও আগে স্থানীয়ভাবে পরিবহন ধর্মঘট হয়েছে। আগের মতোই মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধের কারণ দেখিয়ে ধর্মঘট ডেকে বাস ও মিনিবাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ফলে সারা দেশের সাথে ফরিদপুরের যোগাযোগ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। ফরিদপুর থেকে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ৮টা থেকেই শহরে কোনোরকম ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। মোবাইল বা ব্রডব্যান্ড, কোথাও ইন্টারনেট সেবা নেই।
শুক্রবার বিকেলের মধ্যেই কোমরপুরের ওই সমাবেশ স্থলে অসংখ্য নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। তারা সেখানে খণ্ড খণ্ড মিছিল করছেন। সব মিলিয়ে সেখানে একটি উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
তবে বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, সমাবেশ কেন্দ্র করে পুলিশ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।